"চ্যাতে সর্প মরে
গোপনে হাতি মরে
সাত শকুনে খাইয়া মরে
তাল পইড়া হৈল মরে
কথা গেছে এমনে
ইন্দুরে বিলাই মারে কেমনে"
কাহিনিঃ
বনের রাস্তা ধরে হাতি যাওয়ার সময় নিজের অজান্তে একটা বিষাক্ত সাপকে অতিক্রম করে। এতে করে সাপ অপমানিত বোধ করে বলে, "সে এত বড় হইছে তো কি হইছে! আমিও কি কম নাকি!" রাগে গজগজ হয়ে হাতির পায়ে দংশন করে বসে। হিতে বিপরীত! বিশাল হাতি পড়লো ঐ সাপের উপরেই। সাপ বেটা নিজের বড়াই বজায় রাখতে গিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মেরে মারা পড়লো। আর এদিকে হাতি জানতেই পারলো না সে কেনো এই বিপদে পড়ে মারা গেলো!
আর এদিকে বিশাল হাতি পরে থাকতে দেখে শকুন দের যেনো ঈদ লেগে গেলো। একে একে সাতটি শকুন এসে মনের আনন্দে খেতে লাগলো। কিন্তু হায়! কিছুক্ষণ পরেই খেতের আইল ধরে সবগুলা ঝিমাইতে ঝিমাইতে মারা পড়লো।
বিলের ধারে তাল গাছে তাল পেঁকেছে। তাল বলে, "মাগো একটু ঘুমাই!" বলেই টপ করে পানিতে পড়ে। তাল গাছের নিচেই বিলের ধাঁর ঘেষে শৈল মাছ এসে একটু ঝিরিয়ে নেয়ার জন্যে বসতেই তাল "মাগো একটু ঘুমাই" বলে মাথায় পড়লো। শৈল মাছ শেষ।
আর এদিকে, বিড়ালের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সব ইদুর। তারা চিন্তা করলো বিড়াল সরানো দরকার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যে। সুযোগের অপেক্ষায় থাকলো সব ইদুর। তো বিড়াল একদিন মেঝেতে শুয়ে বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। ইদুরগুলা লক্ষ্য করলো বিড়ালের ঠিক মাথা বরাবর একটা ছিঁকা ঝুলতেছে জিনিস ভর্তি কলস নিয়ে। ব্যাস! সুযোগের সঠিক ব্যবহার করে ছিঁকার দড়ি কেটে দিলো ইদুর। ছিঁকা পড়লো বিড়ালের মাথায় আর পথের কাঁটা শেষ!
শিক্ষাঃ
১. সর্ব অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। কারো কোনো কিছুতে হিংসা কিংবা নিজের কিছু নিয়ে বড়াই করা যাবে নাহ।
২. চলার পথে সচেতন থাকা জরুরি নইলে নিজের অজান্তেই নিজের বিপদ ডেকে আনার মতো কাজ করে বসতে পারি আমরা।
৩. ভালো মন্দের বিচার করে চলা উচিত আগেই নইলে পরে পস্তাতে হবে।
৪. নিজের অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞান এবং সচেতনতা দুটোই থাকা জরুরি।
৫. দূর্বলের উপর জুলুম করা উচিত নয়। সময় তাদেরও আসবে। সেদিন হিসাব বুঝে নিবে তারা।
__________________________
![]() |
নানার সাথে আমি |
0 Comments